সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির আওতায় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, পিআর পদ্ধতি সংবিধান ও আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২)—উভয় জায়গাতেই নেই। ফলে এটি বাস্তবায়নের জন্য আগে আইন সংশোধন করতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে পড়ে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে পিআর না প্রচলতি পদ্ধতিতে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, আরপিওটা পরিবর্তন করে যদি এটা অন্য একটা দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আইন বদলাতে হবে। আমরা তো আইন বদলাতে পারি না।’
যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় তবে ফেব্রুয়ারিতে ভোট করা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সেটা তো আইন বদলাইতে হবে, আরপিও বদলাতে হবে। আর এখানে আরপিওতে যে সিস্টেম আছে সেটা বদলাতে হলে সংবিধানও বদলাতে হবে। আবার সংবিধান বদলাতে বলা হলে আমার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলবে উনি তো পিআরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।’
এ এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো একটা ফয়সালা বা মীমাংসায় আসুক। উনারা তো বুঝবেন যে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে কি হবে না। যদি উনারা পিআর চান তাহলে উনারা বুঝবেন না।’
এনসিপির শাপলা প্রতীক চাওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, শাপলা প্রতীক প্রথমে নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল, তাদের দেওয়া হয়নি। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চেয়েছে, তাদেরও দেওয়া হয়নি। শাপলা প্রতীক কেন দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কিভাবে হয় দেখে নেব- এটাকে হুমকি হিসেবে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। ইসি কারও কথায় চলে না, নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চায়।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই এমন কথা জানিয়ে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘লেবেল প্লেইং ফিল্ড সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে। এর জন্য সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।’